বাঁচার অধিকার
ঝড়, জল উপেক্ষা করে বাঁচার তাগিদে নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিবাদী মানুষ আজ বিনিদ্র রজনী রাজপথে, শিক্ষাঙ্গনে, নদীতীরে, মাঠে ময়দানে বিরাজ করছে৷ কী তাদের উদ্দেশ্য?
- Read more about বাঁচার অধিকার
- Log in to post comments
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
ঝড়, জল উপেক্ষা করে বাঁচার তাগিদে নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিবাদী মানুষ আজ বিনিদ্র রজনী রাজপথে, শিক্ষাঙ্গনে, নদীতীরে, মাঠে ময়দানে বিরাজ করছে৷ কী তাদের উদ্দেশ্য?
তোমারই সৃষ্ট জগতে তোমারি বাঁধা নিয়মে কত কিছুই যায় আসে৷ যে সূর্য অস্ত গেল একটু আগে, সেই সূর্য আবার কাল সকালে উদয় হবে৷ এইভাবে দিন যায় রাত আসে, রাতের পর আবার দিন আসে৷ এই যে শরৎ আর কটা দিন পরে বিদায় নেবে এও আবার ফিরে আসবে আর একটা বর্ষা পার করে৷
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ সালের ২৬ শে সেপ্ঢেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে একটি হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পিতার ছিলেন ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা হলেন ভগবতী দেবী৷
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব যিনি আমাদের সমাজে উল্লেখযোগ্য সংস্কার এনেছিলেন৷ কিন্তু আমরা কয়জন তার সম্পর্কে একটু বিস্তারিতভাবে জানি? হয়তো অনেকে নয়! সুতরাং তাকে ভারতের জনগণের কাছে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং ভারতীয় ইতিহাস তৈরিতে তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷
ঝাড়খন্ডের অধিবাসীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বাঙালী৷ বাড়ীতে এখনও তারা বাংলা ভাষাতেই কথা বলে৷ পরস্পর ভাব বিনিময়ও বাংলা ভাষাতেই হয়৷ আগে স্কুলগুলিতে বাংলা পড়া হ’ত৷ ব্রিটিশ আমলে তো হ’তই, স্বাধীনতা লাভের পরেও সেই রেওয়াজ ছিল৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও পরবর্তীকালে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্তে বর্তমান ঝাড়খন্ডের অধিকাংশ এলাকা যেমন পূর্ব সিংভূম জেলা, পশ্চিম সিংভূম জেলা, সোরাইকেলা–খরসোঁওয়া জেলা, বোকারো জেলা, ধানবাদ জেলা, দুমকা, দেওঘর, জামতারা, গড্ডা, সাহেবগঞ্জ ও পাকুড় জেলা, তাছাড়া বঁাচী, হাজারীবাগ ও গিরিডি জেলার অংশ বিশেষ– এই সমস্ত এলাকা বাংলা থেকে ছিনিয়ে আগের বিহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ পরে এই এলাকাগুলি নবগঠিত
যদি এ দেশে কাজ বেশী আর কথা কম হতো তা হলে মনে হয় হতভাগ্য দেশটি অনেক দূর এগিয়ে যেত৷ তা কিন্তু হয়নি৷ আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় জহরলাল নেহেরু আমেরিকা গিয়ে টেনেসি নদীর বাঁধ দেখে ভাবলেন এদেশেও এই ধরণের বাঁধ করলে বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে অনেক কাজ হবে৷ তাই ডি. ভি. সি.
শিক্ষক মানেই ‘সমাজগুরু’৷ অন্ধকার থেকে আলোর দিশা দেখান যিনি, তিনিই গুরু পদবাচ্য৷ সেই অর্থে অশিক্ষা-কুশিক্ষাতে জর্জরিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোর দিশা দেখানো, সমাজকে শিক্ষার আলো প্রদর্শন করানো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ই প্রকৃত ‘‘আদর্শ শিক্ষক’’৷
২৬শে সেপ্ঢেম্বর মহান বাঙালী মণীষী, শিক্ষা জগতের পুরোধা, সমাজসংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরে’র ২০৪তম জন্মদিবস৷ স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালী বিদ্বেষী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির উদাসীনতায় ‘বিদ্যাসাগর’-র মতন মণীষীকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন থেকে ব্রাত্য থাকতে হয়েছে৷
আজ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে প্রথম মানব শিশুর জন্ম হয়েছিল৷ সে যুগের মানুষ মস্তিষ্ক দিয়ে বেশী চিন্তা করতে পারতো না৷ কারণ তার ক্ষমতা ছিল সীমিত৷ কিন্তু এখন তার পার্থক্য অনেক৷ মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে৷ তার মধ্যে সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক, আধ্যাত্মিক চিন্তা প্রভৃতি জেগেছে৷ মানুষের চিন্তাধারার মধ্যে পরিবর্তন ঘটেছে৷
মানব সমাজ সৃষ্টি হ’ল, মানব সমাজের উন্নতি হ’ল ঠিকই কিন্তু সত্যিই কী নারী তার যোগ্য মর্যাদা পেয়েছে
কতিপয় নারী লোভের বশবর্ত্তী হয়ে অর্থ উপার্জনের জন্যে শরীর বিক্রী করছে–প্রায় নগ্ণ হয়ে৷ প্রাত্যহিক সংবাদপত্রে, বিভিন্ন পত্র–পত্রিকায়, দূরদর্শনে স্বল্প পোষাকে শরীর দেখিয়ে কিশোর–যুবাদের কাম রিপুকে শুড়শুড়ি দিয়ে যৌন–আবেদনে হাতছানি দিয়ে শরীরে শিহরণ এনে দিচ্ছে৷ এদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়৷ এদের ধ্বংস অনিবার্য৷ এদের কবল থেকে শিশু–কিশোর–যুবা কেউই বাঁচবে না সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে৷ এই সমস্ত নারীরা নিজেরাও মরবে, অন্যদেরও মারবে৷
(শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ সেন, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বিভূতিভূষণ সম্পর্কে সে অসাধারণ বত্তৃণতা করেছিলেন সেটির অনুলিখন করেছেন) রামকৃষ্ণ মণ্ডল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন (বি.এড.কলেজ)-এর বি.এড.বিভাগের শিক্ষার্থী কণিকা চক্রবর্তী৷
প্রকৃতি আর মানুষকে ভালোবাসতেন তিনি৷ তাই ছোট থেকেই জগতটাকে দেখতেন দুচোখ ভরে৷ উপভোগ করতেন পথের দৃশ্য, নজর এড়াতোনা মানুষের সুখ-দুঃখ৷ সাহিত্যে সেই ছাপই রেখে গেছেন বাংলা কথাসাহিত্যের বিখ্যাত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হ’ল সঙ্গীত৷ নিম্নমানের সঙ্গীত যেমন মানুষের অন্তর্নিহিত পশুভাবকে জাগিয়ে তোলে তেমনি উচ্চমানের সঙ্গীত মানুষের ভিতরে সুপ্ত দেবভাবকে জাগিয়ে তোলে৷ বর্তমান সমাজের সর্বাত্মক অবক্ষয় থেকে সঙ্গীত জগৎও রেহাই পায়নি৷ এই অবক্ষয়কে রোধ করে সংস্কৃতির আঙ্গিনায় নূতন প্রভাতের আবির্ভাব হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তথা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত ‘প্রভাত-সঙ্গীত’৷ মোট ৫০১৮টি প্রভাত-সঙ্গীত রচনা ও সুর তাঁরই সৃষ্টি৷