প্রবন্ধ

শ্রাবণী পূর্ণিমা–নবযুগের পথে বিশ্বমানবের যাত্রা শুরু

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সব কাজেরই শুরুর আগে একটা শুরু আছে৷ যাকে বলে আয়োজন৷ কবির কথায় সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় শলতে পাকিয়ে রাখতে হয়৷ প্রদীপ জ্বালার আয়োজন তখন থেকেই৷ ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের ছোট্ট শহর জামালপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখাটি জ্বালিয়েছিলেন তারও আয়োজন শুরু হয়েছিল আরও ১৬ বছর আগে ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমাতে৷ বস্তুতঃ আনন্দমার্গের যাত্রা শুরু ওই দিন থেকেই৷ সেইসঙ্গে বিশ্বমানবেরও নবযুগের পথে যাত্রার সূচনা হয়৷

মানুষের অর্বাচীন আচরণে বিপন্ন মৎসকুল

সংবাদ প্রতিবেদন

মানব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মৎসকুল৷ কারণ আর কিছুই নয়, মানুষের দুর্বুদ্ধি! নাকি বদবুদ্ধি? হাসপাতালের আবর্জনা নোংরা জল সবকিছু মিশছে নদীতে গিয়ে৷ নদীগুলোর জলকে দূষিত করছে এইসব আবর্জনা ও হাসপাতালের জীবাণুবাহিত জল৷ সরকার ও  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কারো কোন মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে৷ জলে তো শুধু মাছই থাকে না৷ মানুষও নানা কাজে ওই জল ব্যবহার করে আর সেই জল দূষিত করছে অজ্ঞ সাধারণ মানুষ নয়, মানুষকে সুস্থ রাখার দায়-দায়িত্ব যাদের তারাই৷

কর্ণাটকে পুনরায় ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী ঘোড়ার পিঠে চড়ে এক পঙ্গু সরকার

প্রভাত খাঁ

কর্ণাটকে ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি আপাততঃ শেষ৷ ভারতের গণতন্ত্রকে এক ভয়ঙ্কর নক্কারজনক পরিহাসে পরিণত করেছে ঘোড়া কেনা-বেচার রাজনীতি৷ দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্য বর্তমানে এই নক্কারজনক রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷ কুমারস্বামী জোট সরকারের কংগ্রেসের ১৩ জন বিধায়ক ও জে.ডি.এস.-এর তিন বিধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করেন৷ একজন অবশ্য পরে পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নেন৷

মানবিক-অমানবিক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

জীবন পথে চলতে গিয়ে আমরা কিছু ঘটনার সম্মুখীন হই বা কোন কোন ঘটনার সংবাদ জানতে পারি যা আমাদের মানবিক চেতনার গভীরে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়ে যায়৷ এগুলোরই একটি মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া ব্লকের চোঁয়া গ্রামের ঘটনা৷ এই গ্রামেরই পুরুত মশাই শ্রী সুভাষ রায়চৌধুরী গ্রামে গ্রামে পূজা পাঠ, পৈতে, বিয়ে, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে যজমানি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন৷ কয়েক মাস আগে তিনি অসহায় এক স্বামী পরিত্যক্তা ও নিগৃহীতা মুসলিম মহিলা, সখিনা বিবিকে দুটি নাবালক পুত্র-কন্যা সহ নিরাশ্রয় অবস্থায় দেখে দয়া পরবশ হয়ে তাঁর বাসভবনে ঠাঁই দিয়েছিলেন৷ সুভাষবাবুর স্ত্রী ও কন্যা তাঁর এই মানবিক আচরণের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন৷

অগ্ণিযুগের কথা

পথিক বর

১৯৩০ সাল, অগ্ণিযুগের বাংলা৷ আজকের মত রাজনীতি মানে বিনে পয়সার মূলধনে করে খাওয়ার উপায় নয়৷ আজ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছাত্র-যুব-তরুণদের সঙ্গে সেদিনের স্বাধীনতার জন্যে উৎসর্গীকৃত রক্তের অক্ষরে শপথ নেওয়া বিপ্লবী তরুণবৃন্দের তুলনা চলে না৷ আজ রাজনীতি মানে স্বার্থের সংঘাত, সীমাহীন লোভ-লালসা চরিতার্থ করার মঞ্চ৷ আর সেদিন দেশমাতৃকার চরণে---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান তারই লাগি কাড়াকাড়ি৷’

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈসামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক অর্থনৈসামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit)— বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (possibility)

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

সত্যসন্ধ দেব

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

বাংলা বিভাগের নামফলক থেকেই বাংলা উধাও

মনোজ দেব

ত্রিপুরা 

বাংলা প্রেমের স্বরূপটা প্রকাশ পাচ্ছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়৷ ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকেই বাংলাকে ছেঁটে দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে রাজ্যে আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে বিলুপ্ত করে হিন্দী চাপানোর যে প্রবণতা নেহেরু সরকার শুরু করেছিল, মোদী জমানায় সেই প্রবণতা আরও বহুগুন বেড়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসমে বাংলাকে সরিয়ে হিন্দী চাপানোর কাজ জোর কদমে চলছে৷ ত্রিপুরা ও অসমে কেন্দ্রের শাসক দলই শাসন ক্ষমতায় থাকায় সোজা পথেই সেটা করছে৷ পশ্চিমবঙ্গে নানা কৌশলে হিন্দী চাপানোর প্রয়াস করছে দিল্লীর বিজেপি সরকার৷

মাইক্রোবাইটাম ও দধি

বিজ্ঞানের আলোয় দধির উপকারিতা ও কল্যাণকর ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে আরও যে সর্বাধিক ও সর্বশেষ চাঞ্চল্যকর তথ্য ও তত্ত্বগুলি আমরা পাচ্ছি শ্রদ্ধেয় শ্রী পি. আর.

চাই কর্মসংস্থান, ক্রয়ক্ষমতা ও সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ৫ই জুলাই ২০১৯ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী দ্বিতীয় দফায় মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন সংসদে বাজেট পেশ করেছেন৷ অন্যান্য বছরের মত বাজেটের কাগজপত্র বহনকারী ব্রীফকেস পরিত্যাগ করে নতুন অর্থমন্ত্রী ফিতে বাঁধা কাপড়ের থলি হাতে সংসদে প্রবেশ করে এক নব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন৷ লোকসভা নির্বাচনে দেশবাসীর হাত-উপুড় করা ভোট পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই জনমানসে প্রত্যাশার আগ্রহ ছিল৷ যদিও প্রত্যাশা অনুপাতে প্রাপ্তির দিকটা খুব বেশী আলোকোজ্জ্বল নয়৷বাজেটের আগেই এক প্রস্থ স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমানো হয়েছে৷ স্বল্প সঞ্চয়ে সাধারণতঃ কোনও বড় পুঁজিপতি অর্থলগ্ণী করে না---বরং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীবৃন্দ, স