July 2019

উলুবেড়িয়া আনন্দমার্গ চিকিৎসা শিবির

গত ২৯শে জুন উলুবেড়িয়া আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গের  পক্ষ থেকে এক চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ এই চিকিৎসা শিবিরে ডাঃ চাঁদমোহন পাল ও ডাঃ সমীর সামন্ত বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা  করেন ও রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করেন৷ এই শিবিরে শতাধিক  রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়৷

চিকিৎসা শিবিরের ব্যবস্থাপনায়  ছিলেন সুব্রত সাহা,অমিয় পাত্র রবিন ভৌমিক, অবধূতিকা আনন্দ রূপলীনা আচার্যা, ব্রহ্মচারিনী রত্নদীপা আচার্যা, মহাব্রত দেব, মণিকা ঘড়ুই প্রমুখ৷

বয়লাশোলে ২৪ ঘণ্টা অখণ্ড কীর্ত্তন

৪ঠা ও ৫ই জুন প্রতি মাসের মত এ মাসেও মেদিনীপুরে ২৪ ঘণ্টা ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ৪ঠা জুন বিকেল ৩টায় শুরু হয়, ৫ই জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে৷, অখণ্ড কীর্ত্তনের পর যথারীতি মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায় হয়৷ এরপর বক্তব্য রাখেন আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত ও আচার্য রমেন্দ্র মাইতি৷ তাঁরা মানব জীবনে যোগ সাধনার গুরুত্ব ও কীর্ত্তনের মাহাত্ম্য সম্পর্কে মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন৷ অনুষ্ঠানে ২০০০ গ্রামবাসীকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷

মেদিনীপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

মেদিনীপুর ঃ গত ১৭ই জুন  কেরাণীটোলা আনন্দমার্গ স্কুলে প্রতি মাসের মত এ মাসেও তিন ঘণ্টা আনন্দমার্গের অনুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রীরমেন্দ্রনাথ মাইতি ও আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত৷

নদীয়া জেলার এলাঙ্গী গ্রামে আনন্দমার্গের স্কুলের শিলান্যাস

গত ১৬ই জুন নদীয়া জেলার অন্তর্গত এলাঙ্গী গ্রামে মৃধা পরিবারের আনুকুল্যে ১৪ কাঠা জমির ওপরে আনন্দমার্গ স্কুলের শিলান্যাস হ’ল৷ আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে শিলান্যাসে পৌরোহিত্য করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের শিক্ষাবিভাগ গুরুকুলের মহাসচিব আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত৷ শিলান্যাস অনুষ্ঠানে নদীয়া জেলার ভুক্তি কমিটির সদস্য এলাঙ্গী গ্রামের বহু শুভানুধ্যায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বিদ্যালয় স্থাপনে তাঁরা অত্যন্ত আগ্রহী ও সকলেই সচেষ্ট হয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যালয়ের কাজ শেষ করা যায়৷ শিলান্যাস অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের শিক্ষা, সংস্কৃতি ছাড়াও সামাজিক-অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক দিকগুলির বিষয়ে মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন

প্রাউটের অর্থনীতি বিষয়ে আলোচনা

গত ১৬ই জুন হাওড়ার রাণিহাটিতে এই জেলার আনন্দমার্গের ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহার বাসভবনে ‘প্রাউটের অর্থনীতি’ বিষয়ে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনা সভায় স্থানীয় আনন্দমার্গীরা ছাড়া বহু নন-মার্গীও উপস্থিত ছিলেন৷  তাদের  সামনে প্রাউটের  গণ-অর্থনীতি বিষয়ে আলোচনা  করেন জ্যোতিবিকাশ সিন্হা৷ আচার্য লীলাধীশানন্দ  অবধূত ও আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত৷ তাঁরা বলেন, প্রাউটের গণর্থনীতি প্রথম কথা হ’ল সমাজের প্রতিটি মানুষের নূ্যনতম চাহিদা পূরণের গ্যারান্টি প্রদান করা৷ প্রাউটের অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে পেরে উপস্থিত সবাই  প্রাউটের অর্থনীতিকে বাস্তবায়িত করতে  সবাই উদ্যোগী হওয়ার সংকল্প ঘোষণা করেন৷

প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

মেদিনীপুর ঃ আগামী ৮ই সেপ্ঢেম্বর মেদিনীপুর কেরাণীটোলা আনন্দমার্গ স্কুলে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে৷ এতে প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য ও অঙ্কনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে৷ বয়স অনুসারে বিভিন্ন গ্রুপে একক নৃত্য ও সমবেত নৃত্য, একক সঙ্গীত ও সমবেত সঙ্গীতেরও প্রতিযোগিতা হবে৷ এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীরা কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য প্রভাত সঙ্গীতের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করারর সুযোগ পাবেন৷

সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে বর্ষাবরণ

২২শে জুন সন্ধ্যায় সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে বর্ষাবরণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হ’ল সেরাম অডিটোরিয়ামে৷ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন সংঘটনের সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য৷ তিনি প্রত্যেকটি উপস্থাপনার মাঝে সংঘটনের কার্যক্রম ও বর্ষার ওপর লেখা বিভিন্ন কবিতা পরিবেশন করেন৷ মূলত মারণ রোগ থ্যালাসেমিয়া রোধে সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন সারা বছর ধরে কাজ করে থাকে৷ সারা বছর নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যে সাধারণ মানুষকে থ্যালাসেমিয়া সম্বন্ধে সচেতন করাও সংঘটনের প্রধান কাজ৷ বর্ষাবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংঘটনের সভাপতি ডাঃ ভাস্করমণি চট্টোপাধ্যায় সহ কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ৷ অনুষ্ঠানে বহু খ্যাতনা

মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান

গত ৯ই জুন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বয়লাশোল মানবাধিতে এখানকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী রাজীব প্রতিহারের নবনির্মিত গৃহে মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন ও যথারীতি আনন্দমার্গের চর্যাযর্চ বিধি অনুসারে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান হয়৷ এরপর আনন্দমার্গের আদর্শেরওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত৷

বাগনানে ও উলুবেড়িয়া রেলষ্টেশনে রেল টিকিট বাংলায় লেখার দাবীতে স্মারকপত্র পেশ

গত ১৫ই জুন বাগনান রেলওয়ে ষ্টেশন ও বাসষ্ট্যাণ্ডে ও ২৩শে জুন উলুবেড়িয়া রেলষ্টেশনে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে রেলের টিকিটে বাংলা না থাকার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়৷ আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত পথসভায় বিভিন্ন বক্তারা দাবী করেন, রেলের টিকিটে স্থানেরও নাম মূল্য  বাংলায় লিখতে হবে৷ এই মর্মে উভয় ষ্টেশন মাষ্টারের নিকট স্মারকপত্রও দেওয়া হয়৷ পথসভা বক্তাদের রাখেন অর্নব কুণ্ডু চৌধুরী, গোপা শীল, কৌস্তভ সাহা, উৎপল কুণ্ডু, জয়ন্ত শীল, সুব্রত সাহা প্রমুখ৷ তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন বিজলী মণ্ডল৷  মনিকা ঘুড়ুই, চাঁদমোহন পাল৷ শ্যামসুন্দর দাস, দীপ্তি বিশ্বাস, ভারতী কুণ্ডু-চৌধুরী, অমিয় পাত্র, অমর চ্যাটার্জী প্রমুখ

হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোচবিহারে প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা

কোচবিহার ২১শে জুন : গত ২১শে জুন শুক্রবার আমরা বাঙালী কোচবিহার জেলার পক্ষ থেকে কোচবিহার শহরে এক বিরাট প্রতিবাদ মিছিল বের হয়৷ শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমন করে দাস ব্রাদার্স মোড়ে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ উক্ত পথসভায় আমরা বাঙালী দলের বিভিন্ন বক্তারা হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোর করে স্কুল-কলেজে হিন্দি চাপাবার তীব্র নিন্দা করেন৷ এই সাথে সকল বাঙালী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি৷ কারণ হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীদের মূল লক্ষ্য বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি ও বাঙালী জাতি সত্তাকে ধবংস করা৷ তাই সমস্ত বাঙালী ছাত্র-যুবক-তরুণ সমাজ এগিয়ে আসার জন্যে ও