December 2020

কৃষ্ণনগর জাগৃতি ভবনে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৮ই নভেম্বর ২০২০ রবিবার  নদীয়া জেলার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর ‘জাগৃতি ভবনে’ নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত  থেকে আগত ৫০ জনের অধিক দাদা-দিদি, ও মার্গী ভাই বোনের উপস্থিতিতে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তিনঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অনুপ্রিয়া দেব, মিঠু মুখার্জী, অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ পূর্ণপ্রাণা আচার্যা প্রমুখ৷

কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় হয়৷ কীর্তানুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন আনন্দমার্গের বিশিষ্ট সন্ন্যাসী আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত৷

ভাতজাংলা গ্রামে অখণ্ডকীর্ত্তন

গত ১০ই নভেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার নদীয়া জেলার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর শহর সংলগ্ণ ভাতজাংলা গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীপ্রশান্ত কুমার দত্ত ও শ্রীমতি সন্ধ্যা দত্তের বাসগৃহে নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৫০ জনের অধিক দাদা-দিদি, মার্গী ভাই বোনেদের উপস্থিতিতে সকাল ৯টা৩০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তিনঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহানাম ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত  হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অনুপ্রিয়া দেব, মিঠু মুখার্জী, অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ পূর্ণপ্রাণা আচার্যা প্রমুখ৷

মদনপুরে প্রয়াত বিশিষ্ট আনন্দমার্গী

নদীয়া জেলার মদনপুরে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী প্রীতিভূষণ সরকার গত ১৬ই নভেম্বর সোমবার, বেলা ১২টা ৫৫মিনিটে প্রয়াত হন৷ তাঁর একপুত্র ও দুই কন্যা বর্তমান আছে৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

তিলজলা আশ্রমে গত ২৯শে নভেম্বর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও মার্গের একনিষ্ঠ কর্মী কৌশিক খাটুয়ার মাতৃদেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয় আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুসারে৷ প্রসঙ্গত গত ২৩শে নভেম্বর  শ্রী খাটুয়ার মাতৃদেবী প্রয়াত হন৷ প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷

সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে শীর্ষে বাঙলা

প্রধানমন্ত্রীর গ্রামীন সড়ক যোজনায় তৈরী রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে  পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষস্থানে আছে৷ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে৷ দেশের ১৯৭টি জেলার  ৪৬৮টি রাস্তা পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মনিটারিং টিম৷ এদের প্রতিবেদনে জানা যায়৷ ৮৫ শতাংশ রাস্তা ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে৷ এই কাজে শীর্ষ আছে পশ্চিমবঙ্গ৷ বিজেপি শাসিত গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, অসম, বিহার প্রভৃতি রাজ্যে কাজে টিম খুশি নয়৷

বাঙালী মহিলার হাতে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিকের দায়িত্ব

কলকাতা বিমান বন্দরের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব নিলেন বাঙলার মেয়ে শ্যামলী হালদার৷ দেশের মধ্যে তিনিই প্রথম মহিলা যিনি এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে এলেন৷ শ্যামলীর জন্ম ও লেখাপড়া মহারাষ্ট্রের নাগপুরে৷ তবে মেদিনীপুরের মেয়ের কর্মজীবনেরবাঙলা থেকেই৷ এর আগে তিনি এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে একাধিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন৷

পুরুলিয়া জেলার জন্ম কথা

পথিক বর

লর্ডকার্জনের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন ইতিহাসে স্থান পেয়েছে৷ কিন্তু এই বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করেই আর একটা আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল, যে আন্দোলন চলেছিল দীর্ঘ ৪৪ বছর৷ ১৯১১ সালে ব্রিটিশ শাসক বঙ্গ-ভঙ্গ রোধ করতে বাধ্য হলো৷ কিন্তু চতুর ব্রিটিশ ও কংগ্রেসের হিন্দী লবির চক্রান্তে বাঙালীর বিরুদ্ধে নূতন এক ষড়যন্ত্র শুরু হয়৷ চতুর ব্রিটিশ বাংলা ভাষী অঞ্চল মানভূম সিংহভূম ধলভূম প্রভৃতি বিস্তীর্ন অঞ্চল বিহার ও উড়িষ্যার সঙ্গে যুক্ত করে দেয়৷ ১৯১২ সালে ওই অঞ্চলের বাঙালী জনগোষ্ঠী মূল বাঙলার সঙ্গে যুক্ত  হবার আন্দোলন শুরু করেন৷ সেই সময় কংগ্রেস  অধিবেশনে বাঙলার নেতারা মানভূম প্রসঙ্গ তুললে তৎকালীন কংগ্রেস নেতারা  প্রত

জীবন তরী

সুকুমার রায়

শুনি যারা বায় জীবনতরী

তোমার নামের ছন্দ ধরী৷

এগিয়ে গেছে, অনেক দূরে

সত্যপথের সেবা করে৷

ঝড়-বাদলে তুফানভারী

মন মানে না অভয় জারী৷

ছেড়ে মায়ার অনিত্যকারা

প্রেমের পাগল সেই যে তারা

                                    প্রভাতে আজি আলোর জুয়ার

                                    খুলেছে মনের আনন্দ দুয়ার৷

                                    ভাবলোকে এসেছে পরশমণি

                                    দিকদিগন্তে উঠেছে নৃত্যধবনী৷

                                    তোমার করুণায় হল ক্লান্তিহারা

এসেছে অঘ্রাণ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে পাতা

ঝরছে শিশির কণা---

তাই-না দেখে প্রজাপতির

খুশির উন্মাদনা!

কচি ধানের ঝাড়ে ঝাড়ে

উড়ছে কত টিয়ে,

ঘুম ভাঙানো মন নাচানো

সুরেলা শিস দিয়ে৷

পায়রাগুলো ঘাড় ফুলিয়ে

ডাকছে দুলে দুলে,

চড়াইগুলো খড়ের কুটো

নিচ্ছে তুলে তুলে৷

মিষ্টি রোদে ছুটছে শালিক

রঙিন উছল প্রাণ

সবার মনেই পুলক জাগে

এসেছে অঘ্রাণ!

 

স্মৃতির অন্তরালে কবি মানকুমারী বসু

কণিকা দেবনাথ

বর্তমান বাংলাদেশের, অবিভক্ত বাঙলার যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে দত্ত পরিবারে কবি মান কুমারী বসুর জন্ম ১৮৬৩ সালের ২৫শে জানুয়ারী৷ পিতা আনন্দমোহন দত্ত মাতা শান্তমণি দেবী৷ এই দত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন বাংলা সাহিত্য জগতের আর এক  দিকপাল মাইকেল মধুসূদন দত্ত৷ তৎকালীন সমাজের বাল্যবিবাহ প্রথার  বলি মানকুমারী বসুর বিবাহ হয় মাত্র ১০ বৎসর বয়সে ১৮৭৩ সালে ডাক্তারি পাঠরত খুলনার বিধু-শঙ্কর বসুর সাথে৷ কিন্তু তাঁহার দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হয়েছিল মাত্র নয় বছর৷ ১৮৮২ সালে স্ত্রী ও এক কন্যা রেখে বিধূশঙ্কর পরলোক গমন করেন৷ মাত্র ১৯ বৎসর বয়সে মানকুমারী বসু বিধবা হন৷